শেখ মুজিব বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে –শিশু দিবসে ব্যারিস্টার জিরু
স্টাফ রিপোর্টার \ স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এজন্য ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সাথে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে।
গত ১৭ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী ডাকবাংলো মাঠে খেলাঘর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজিত জাতির পিতার ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, জেলা পরিষদের সদস্য তৌফিকুজ্জামান রতন মহলদার, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন।
এসময় খেলাঘর, ঈশ্বরদীর উপদেষ্টা ও অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষক ব্যারিস্টার জিরু উপস্থিত দর্শক ও শিশুদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস শোনান। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘরে জন্ম নেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। লুৎফর-সায়েরা দম্পত্তির ছোট্ট ‘খোকা’ই পরবর্তীতে এদেশের মানুষের পরাধীনতা মুক্তির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুলজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চে তার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়।
তোমরা যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করো তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও কেককাটার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন খেলাঘর ঈশ্বরদীর সভাপতি দেওয়ান আবুল হাসেম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফারহানা রানী। অনুষ্ঠান তত্ত¡াবধানে ছিলেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এনামুল ইসলাম জিন্নাহ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ইসমাইল হোসেন।
অনুষ্ঠানে যুবলীগ নেতা মহিদুল ইসলাম, খেলাঘর নেত্রী হিরা, ছাত্রলীগ নেতা প্রকৌশলী ইফতেখাইরুল ইমন, আসিফ সালেহীন বিশাল, জাকিরুল মওলা সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান তুফানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃতি, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে খেলাঘরের শিশু শিল্পীরা।